সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট নগরীর আম্বরখানাস্থ বিএম টাওয়ার থেকে দুই কোটি টাকা মূল্যের ‘মার্সিটিজ বেঞ্জ’ গাড়ি (ঢাকা-৬১৪/ও) উধাও হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে টাওয়ারের চেয়ারম্যান ও গাড়ির মালিক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার টাওয়ারের নিরাপত্তা কর্মী ও ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সিলেট’র সহকারী পরিচালক প্রভাত কুমার সিংহ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গাড়িটি আটক করার জন্য সিলেটে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এছাড়া দেশজোড়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে গাড়ি আটকের ব্যাপারে।
প্রভাত কুমার সিংহ অগ্রদৃষ্টিকে জানান- শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা গাড়িটি আব্দুল মালেক তার চালক আব্দুজ জহিরের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিএম টাওয়ারের পার্কিং থেকে সরিয়ে নেন। তাই আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও শুল্ক ফাঁকি দেওয়ায় মামলা দায়ের করা হবে।
প্রভাত কুমার সিংহ জানান- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকালে আম্বরখানাস্থ বিএম টাওয়ারের গিয়ে বি-৩ ফ্লাটের পার্কিং-এ একটি ‘মার্সিটিজ বেঞ্জ’ গাড়ি (ঢাকা-৬১৪/ও) দেখতে পায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি টিম। প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের ওই গাড়ির মালিক সম্পর্কে জানতে চাইলে সেখানে কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মী হায়দার মিয়া জানান টাওয়ারের বাসিন্দা তারা মিয়া/আয়শা খানম/আনিতা জান্নাত/আব্দুল মালেক। তবে শেষ পর্যন্ত টিমের সদস্যরা নিশ্চিত হন টাওয়ারের দ্বাদশ তলার বাসিন্ধা প্রবাসী আব্দুল মালেকই গাড়ির মালিক।
এসময় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে কাস্টম দলিলাদি প্রস্তুত করে বিআরটিএ’র রেজিস্টেশন করা ওই গাড়িটির স্থিরচিত্র ও ভিডিও করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের টিম।
তিনি আরো জানান, শুক্রবার ১২টায় শুল্ক অধিদপ্তরের একটি টিম ও বিমানবন্দর থানার সাব ইন্সপেক্টার মো. হানিফসহ একদল পুলিশ বিএম টাওয়া গেলে গাড়িটি পার্কিংয়ে পাওয়া যায়নি। এসময় নিরাপত্তা কর্মী হায়দার মিয়া জানান- সকালে কে বা কারা গাড়িটি নিয়ে চলে গেছে। আব্দুল মালেকের ফ্লাটে গিয়েও তাকে ও তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।